তোপের মুখে ফেডারেশন।



 পুরষ্কারে লাথি মারা পরবর্তী ঘটনায় বাংলাদেশ

বডিবিল্ডিং ফেডারেশন ও বহিষ্কৃত জাহিদ হাসান পৃথক

ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় ঘটা করে সাংবাদিক, সম্মেলন ডেকে উল্টো তোপের মুখে পড়ল বডিবিল্ডিং

ফেডারেশন। সংবাদ সম্মেলন এমন সময় ডাকা হয়েছে।

যখন ঘটনার তদন্ত করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এ

নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো ফেডারেশন কর্মকর্তাদের। উত্তরে বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

বলেন, 'তদন্ত কমিটি এখনো কাজ শুরু করেনি। এ ঘটনা নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা চলছে। 

এ কারণে বিষয়টি পরিষ্কার করতেই আমাদের এ সম্মেলন। সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের পাশে ফেডারেশনের কোনো কর্মকর্তা ছিলেন না, উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন বডিবিল্ডার। এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের সদুত্তর দিতে

পারেননি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল

ইসলাম। তিনি বলেন, 'আমি আছি, আমার সঙ্গে প্রতিযোগিতার প্রধানবি চারকও আছেন। কয়েকজন বডিবিল্ডারও রাখা হয়েছে।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত

বক্তব্যে জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য প্রদান করার

অভিযোগ আনেন। বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, জাজরা নিয়ম মেনে

সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। জাহিদ হাসান সেটা মানতে পারেননি।

উল্টো এখন নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। কারোর বিরুদ্ধে

শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আগে সাধারণত কারণ দর্শাও নোটিশ

দিতে হয়। জাহিদ হাসানের শাস্তির ক্ষেত্রে সেটা

হয়নি। এ প্রসঙ্গেও নজরুল ইসলাম

গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি,

“আন্তর্জাতিক বডিবিল্ডি সংস্থার নিয়ম

মেনেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

২৩ ডিসেম্বর জাতীয় বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় রানারআপ হয়েছেন জাহিদ হাসান। বিচারকদের বিরুদ্ধে প্রহসনের অভিযোগ এনে পুরস্কার গ্রহণের পর মঞ্চের সামনেই তাতে লাগি মারেন এ বডিবিল্ডার। ঘটনার পর নির্বাহী কমিটির জরুরি সভা ডেকে জাহিদকে আন্তর্জাতিক অঙ্গন

ফেডারেশনের অধীন সকল কার্যক্রমে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়। সে ঘটনার পর জাহিদ হাসান নিজের মতো করে ঘটনার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। তার বিপরীতে ব্যাখ্যা

দিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মন্তব্যসমূহ