যেভাবে ধরা পড়ল ১৭ কোটি টাকার মদের চালান।



এই কনটেইনারে পুরোটাই মদের বোতলছবি: সংগৃহীত

 সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা এক কনটেইনার মদের একটি চালান ভিন্ন কৌশলে খালাসের চেষ্টা করছে শিপিং এজেন্ট—জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এমন খবর জানিয়েছিল কাস্টমস কর্মকর্তাদের। সে খবর অনুযায়ী বন্দরেই কনটেইনার খুলে পাওয়া গেছে নানা বিদেশি ব্র্যান্ডের ১৬ হাজার ৮২৪ লিটার মদ। 


কাস্টমস কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার এসব মদের বোতল জব্দ করেন। তাঁরা জানান, জব্দ করা মদের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অবৈধভাবে খালাসের চেষ্টার মাধ্যমে এই এক চালানে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছে চক্রটি। এ হিসেবে এই চালানের বাজারমূল্য ১৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।


কাস্টম সূত্র জানায়, ঢাকার বিসমিল্লাহ করপোরেশনের সোডা অ্যাশ ঘোষণায় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে চালানটি আমদানি করা হয়। অনলাইনে চালানটির প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, চালানটির শিপিং এজেন্ট ছিল বিএস কার্গো শিপিং এজেন্সি লিমিটেড। কনটেইনারটি কিউএনএস ডিপোতে নেওয়ার কথা ছিল। তবে শিপিং এজেন্ট ডিপো পরিবর্তন করে সিসিটিসিএল ডিপোতে নেওয়ার চেষ্টা করে। 

শিপিং এজেন্টের এমন তৎপরতার খবর পৌঁছে যায় এনএসআইয়ের কাছে। দ্রুত তারা কাস্টমসকে বিষয়টি জানায়। এরপরই কাস্টমস কনটেইনার খুলে মদ জব্দ করে।  

চট্টগ্রাম কাস্টমসের পক্ষে উপকমিশনার সাইফুল হক বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, চালানটি আটকের মাধ্যমে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান রাজস্ব ফাঁকির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।


এ বিষয়ে জানতে বিএস কার্গো এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এস এম মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এক ব্যক্তি ফোন ধরেন। তিনি জানান, মাহবুবুর রহমান কাছে নেই। শিগগিরই তাঁকে ফোনটি দিচ্ছেন। তবে আর যোগাযোগ করেননি এস এম মাহবুবুর রহমান।



মন্তব্যসমূহ